জয়পুরহাটে কালাইয়ে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে ঘণ্টাব্যাপী জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। জেলার ২১টি হিমাগারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩টি হিমাগার এ উপজেলায় অবস্থিত। এমনিতেই আলুর দাম না থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। গতকাল রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালাই পৌরশহরে অবস্থিত আর.বি কোল্ড স্টোরেজের সামনে আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ীদের ব্যানারে মানববন্ধন শেষে সড়ক অবরোধ করে সড়কে বসে পড়েন কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। এ সময় সড়কের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরবর্তীতে থানার ওসি ও ইউএনও এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হিমাগারগুলোতে আলু বিক্রির মৌসুম পুরোদমে শুরু না হতেই ভাড়া বাড়ানো এবং বাজার অস্থিরতায় জেলার অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
কৃষক শাহাদুল ইসলাম ও আব্দুল রশিদ বলেন, এবার ৫০০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছি আর.বি কোল্ড স্টোরে। ভাড়া নেওয়া হচ্ছে প্রতি বস্তা ৪৩০ টাকা। অথচ মৌসুমের শুরুতে প্রশাসনের চাপে ৩৫০ টাকা নির্ধারিত হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী বগুড়ার হিমাগারগুলোতে প্রতি বস্তা আলু সংরক্ষণের ভাড়া প্রতি বস্তা ৩৫০-৩৬০ টাকা।
কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুণ চন্দ্র রায় দৈনিক বাংলাকে বলেন, হিমাগারগুলো যে ভাড়া বাড়িয়েছেন তা অযৌক্তিক। মৌসুমের শুরুতে হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিটিং করে গত বছরের ভাড়া পুনর্বহাল করার কথা বলা হয়েছিল এবং সবাই তা মেনেও নিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে হিমাগারগুলো অতিরিক্ত ভাড়া বেশি নেওয়া কাম্য নয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান দৈনিক বাংলাকে বলেন, এখন হিমাগার থেকে আলু বাহির করার মৌসুম চলছে। আমরা ইতোমধ্যে জানতে পারি আর. বি কোল্ড স্টোরেজে আলু সংরক্ষণের যে ভাড়া তা থেকে বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুই দফা বসা হয়েছে। গতক শনিবার দুপুরে বগুড়া-জয়পুরহাট কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের মিটিংয়ের পরে তারা সিদ্ধান্ত জানাতে চেয়েছিলেন কিন্তু তারা জানাননি।